Dark Mode
Tuesday, 19 August 2025
ePaper   
Logo
বাগেরহাটের চিংড়ি ঘেরে বিপর্যয় ভাইরাস ও জলবায়ু সংকটে দিশেহারা  চাষিরা কোটি টাকার ক্ষতির মুখে

বাগেরহাটের চিংড়ি ঘেরে বিপর্যয় ভাইরাস ও জলবায়ু সংকটে দিশেহারা চাষিরা কোটি টাকার ক্ষতির মুখে

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট:

 

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে“সাদা সোনা” খ্যাত বাগেরহাট জেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চিংড়ি উৎপাদনকারী অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু এবারের মৌসুমে বাগদা চিংড়ি ঘেরে বিপর্যয় নেমেছে। ভাইরাস, পানি স্বল্পতা, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা এবং লাগাতার বৃষ্টির কারণে চাষিরা দিশেহারা। উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার চিংড়ি চাষিরা।

চাষিরা অভিযোগ করছেন, ভাইরাসের পাশাপাশি অনুকূল পরিবেশ না থাকায় ঘেরে চিংড়ি মারা যাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। গত বছরের মতো এবারও শুরুতে মানসম্মত পোনা সংকটে পড়েছিলেন চাষিরা। এরপর একের পর এক বৃষ্টি এবং তাপমাত্রার অস্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণে ঘেরে মড়ক লেগে যায়।

চাকশ্রী বাজারের চাষি মো. শাহজাহান বলেন, গত বছর এ সময় ৪০-৫০ কেজি চিংড়ি ধরতাম। এখন জাল ফেললে প্রায় খালি উঠে আসে। লাখ টাকার পোনা দিয়েছি, ঘেরে এখন শূন্য অবস্থা।
রামপালের চাষি সেলিম হোসেন জানান, আমাদের ঘেরে যা অবস্থা, তাতে ঋণ শোধ করাই মুশকিল। এই অবস্থা চললে আগামী মৌসুমে চাষ করা কঠিন হয়ে যাবে।

জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির তৌহিদুর রহমান সুমন জানিয়েছেন, বাগদা চিংড়ি মারা যাওয়ার সঠিক কারণ উদঘাটনে চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের সহযোগিতা চাইছেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞানভিত্তিক রোগ নির্ণয় ছাড়া কোনো স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।

বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ড. মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ঘেরের পানি ও মাটি সংগ্রহ করে পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হবে। দ্রুত ফলাফল জানানো হবে, যাতে চাষিরা সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভাইরাসের পাশাপাশি পানি স্বল্পতা, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা ও লাগাতার বৃষ্টির কারণে নোনা পানির চিংড়ি মারা যাচ্ছে। চাষিদের পরিকল্পিতভাবে পোনা নির্বাচন, ঘের প্রস্তুতি এবং পানি ব্যবস্থাপনা করার পরামর্শ দিচ্ছি।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জেলায় ৫১,১৫৯ হেক্টর জমিতে ৪৬,৩১৩টি বাগদা চিংড়ি ঘের রয়েছে। গত অর্থ বছরে এ জেলায় উৎপাদিত বাগদা চিংড়ির পরিমাণ ছিল ২০,৯৪০ টন। তবে এবার উৎপাদন গত বছরের তুলনায় অনেক কম হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

Comment / Reply From

Vote / Poll

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ যথেষ্ট বলে মনে করেন কি?

View Results
হ্যাঁ
0%
না
0%
মন্তব্য নেই
0%

Archive

Please select a date!