Dark Mode
Sunday, 10 August 2025
ePaper   
Logo
ফেনী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

ফেনী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

 ফেনী প্রতিনিধি 

ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার মজুমদার তপনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শান্তি নগরের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার খায়রুল বশর মজুমদার তপন ফেনীর পরশুরাম উপজেলার ধনিকুন্ডা গ্রামের আবুল বশরের ছেলে।

গ্রেপ্তার তপনের স্ত্রী সাদিয়া ইসলাম শিমু বলেন, ডিবি পুলিশের সদস্যরা রাত ১০টার দিকে বাসায় এসে তাকে আটক করে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান। তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে অসুস্থ হওয়ায় গত কদিন ধরে বাসায় অবস্থান করছিলেন।  

জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খায়রুল বশর মজুমদার তপন আত্মগোপনে চলে যান।

গত বছরের ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের একদফা কর্মসূচির সমর্থনে মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা। দুপুর দেড়টার দিকে ট্রাংক রোড থেকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মহিপাল ফ্লাইওভারের দিকে এগোতে থাকেন। এসময় মুহুর্মুহু গুলি, ককটেল বিস্ফোরণে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের চারপাশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এসি মার্কেট সংলগ্ন এলাকা থেকে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে নির্বিচারে গুলি করতে করতে সামনে এগোতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। সেদিন মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে থেকে শুরু করে সার্কিট হাউস রোডের পাসপোর্ট অফিসের সামনে একে একে পড়ে ছিল শ্রাবণ, শিহাব, শাহীসহ ৭ জনের রক্তাক্ত লাশ। আহত হন শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী, পথচারীসহ অন্তত চার শতাধিক মানুষ।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, রাজধানীর শান্তিনগর থেকে খায়রুল বাশার মজুমদার তপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে।

ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় ২২টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে সাতটি হত্যা ও ১৫টি হত্যাচেষ্টা মামলা। এসব মামলায় ২ হাজার ১৯৯ জন এজাহারভুক্ত এবং ৪ হাজার অজ্ঞাত আসামি রয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজারের বেশি আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ১১ জন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরইমধ্যে একটি মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

Comment / Reply From

Vote / Poll

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ যথেষ্ট বলে মনে করেন কি?

View Results
হ্যাঁ
0%
না
0%
মন্তব্য নেই
0%

Archive

Please select a date!